পরিযায়ী শ্রমিকদের জন‍্য এবার ট্রানজিট ক‍্যাম্প তৈরী হল বর্ধমানে

1st June 2020 বর্ধমান
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন‍্য এবার ট্রানজিট ক‍্যাম্প তৈরী হল বর্ধমানে


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : প্রতিদিন বর্ধমান জংশন স্টেশনে আসছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন । পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও পাশ্বর্বতী তিন চারটি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন বর্ধমানে । ফলে যথেষ্ট চাপ পড়ছে প্রশাসনিক কর্তাদের । সমস্ত স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে । তবুও পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ভিন রাজ‍্য থেকে আসা পরিযায়ীদের স্বচ্ছন্দ প্রদান করা যায় । স্টেশন চত্ত্বরেই প‍্যান্ডেল তৈরী করে বসার ব‍্যবস্থা ও খাওয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে । কিন্তু যেভাবে স্টেশন চত্ত্বরে ভীড় বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন । বিশেষত রাত্রিবেলা ও ট্রেন আসছে বর্ধমান জংশন স্টেশনে । পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও হুগলী , বাঁকুড়া , পুরুলিয়া , বীরভূম , নদীয়া র পরিযায়ী রা নেমে পড়ছেন এখানে । স্টেশন চত্ত্বরের ভীড় ঠেকাতেই এবার ট্রানজিট ক‍্যাম্প তৈরী করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন । বর্ধমানে গোলাপবাগ মোড়ে রয়েছে ইউআইটি । তার সুবিশাল ভবন পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী , পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক কর্তারা । ভিন রাজ‍্য থেকে যারা আসছেন তাদের সরাসরি নিয়ে আসা হবে এই ট্রানজিট ক‍্যাম্পে ।সেখানে প্রথমে সকলে বিশ্রাম নেবে। এখানেই খাওয়ার ব‍্যবস্থা ও থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে । অপেক্ষা করার পর তাদের নির্দিষ্ট গন্তব‍্যে সরকারী উদ‍্যোগেই পৌঁছে দেওয়া হবে । স্টেশন চত্ত্বরে যাতে ভীড় না হয় তার জন‍্য ই এই বিশেষ পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা ।

ছবি - পাপাই সরকার





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।